আন্দোলনে উত্তাল শহর

দক্ষিণ কলকাতার এক আইন কলেজের মধ্যে ছাত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে সোমবারও কলকাতা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে শহর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়তেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।
সোমবার ১০-১২ টি আইন কলেজের  ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনরা মিছিল করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন বর্তমান পড়ুয়ারাও। মধ্য কলকাতায় বিজেপির ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচি তে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। 

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবারই সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কসবার ঘটনা খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে চার সদস্যের তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠিয়েছে বিজেপি। সোমবার তারা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন, ধৃতদের অপরাধ প্রমাণ হবেই। পরে বিজেপির প্রতিনিধি রা ওই কলেজে যান ।

তবে সোমবার কসবার গণধর্ষণের ঘটনার আপডেট দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এফআইআরে থাকা তিনজন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক অভিযুক্তকে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মেডিকোলিগাল পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে ঘটনা হয়েছিল সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসারদের নজরদারিতে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তদন্ত চালাচ্ছে। সেই সঙ্গেই  জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশ এই অপরাধের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার জন্য বদ্ধপরিকর। নির্যাতিতা যাতে ন্যায় বিচার পান সেটা দেখা হচ্ছে। 

এদিকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কসবা ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে একাধিক প্রমাণ। যে রুমে সেই নির্যাতিতা মারধরের অভিযোগ করেছিলেন, সেখানে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকী নির্যাতিতার অভিযোগের সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজেরও অনেকটাই মিল পেয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই মেজিষ্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।