বাংলারজমিন
ভোলায় স্বামীকে পিটিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪
ভোলা প্রতিনিধি
৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে বিএনপি তার অঙ্গ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহব্বত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইয়াছিনের ছেলে ও ফরিদ একই ইউনিয়নের নেজামুল হকের ছেলে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের জেরে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদউদ্দিন ও তজুমদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল ও তজুমদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন সজীবকে বহিষ্কার করেছে নিজ নিজ সংগঠন।
ওসি মহব্বত খান জানান, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে মামলার প্রধান আসামি বিএনপি কর্মী মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন থেকে মামলার এজাহার নামীয় ২নম্বর আসামি উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, তাদেরকে আদালতের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯শে জুন তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলাকান্দি এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে আলাউদ্দিন ও ফরিদ সরাসরি জড়িত বলে ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। এর আগে একই দিন ধর্ষণের সহায়তাকারী ঝর্ণা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বুধবার দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মামলার ৫নম্বর আসামি মো. মানিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে জুন দুপুরের দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুর এলাকায় স্বামীকের মারধরের পর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামিকে করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা করেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেল আয়োজন করেন জেলা পুলিশ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার সাংবাদিকদের জানান, আমরা সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে প্রধান আসামিসহ এজাহার নামীয় উল্লেখযোগ্য আসামি আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ধর্ষণের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। মামলার তদন্ত চলছে।
তদন্ত চলাকালীন এর চেয়ে আর কোন তথ্য এই মুহূর্তে জানা নেই। নতুন কোন তথ্য পেলেই সাংবাদিকদের জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এডিশনাল এসপি সোহান সরকার।