বাংলারজমিন
ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় নৌকাডুবির পরদিন বুধবার আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টায় পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের মহরখাঁ ঘাট এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ দুই শিশু আরিফ ও জুবায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার একই নৌকাডুবির ঘটনায় মাঈন উদ্দিনে মেয়ে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়ার উপজেলার হাবিব মিয়ার ছেলে আরিফ (৮), একই উপজেলার মমতাজ মিয়ার ছেলে জোবায়ের (৮) ও মাঈন উদ্দিনের মেয়ে শাপলা আক্তার (১৪)। নিহত তিনজনই গফরগাঁও উপজেলা দত্তের বাজার বিরই দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দত্তের বাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ছোট নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে গফরগাঁওয়ের বিরই এলাকায় মাদ্রাসায় যাচ্ছিল ওই শিক্ষার্থীরা। নৌকা দত্তের বাজার কুঠুরিঘাট-সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে স্রোতের কারণে হঠাৎ উল্টে যায়। এদিকে, সাঁতরে নদের পাড়ের কাছাকাছি চলে আসা শাপলা আক্তার পেছনে আরিফ ও জুবায়েরকে ডুবে যেতে দেখে তাদের বাঁচাতে যায়। ওই দুই শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও স্রোতের টানে নদে তলিয়ে যায়। নৌকাডুবির পর স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে জাল ফেলে শিশুদের উদ্ধারে অংশ নেন। এ সময় শাপলা আক্তারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এদিকে, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বেলা ১১টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ডুবুরি দলের নেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আসার আগে স্থানীয় লোকজন শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে দিনভর দু‘জন শিশুর সন্ধানে কাজ করেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি। শুনেছি সকালে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, দু’জনের মরদেহ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কি. মি. দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।