বাংলারজমিন
চাটমোহরে শিক্ষকের হাতে রক্তাক্ত শিশু শিক্ষার্থী
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারপাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় সোয়াদ হোসেন নামের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়-য়া শিক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলেন এক সহকারী শিক্ষক। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। শিশুটি ওই গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। পরে শিশুটিকে আহতাবস'ায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস'্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার পর স্কুল থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।
জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন সময়ে হাফিজুর রহমান নামের ওই শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ হোসেন। আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিশুর গালে চড় দেয়ার সময় নাকে লেগে রক্তাক্ত জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে ওই শিশুকে স'ানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস'্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিশুটির বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, শিক্ষক মারধর করুক। সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারতো তবে আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না। কিন' মারারও তো ধরন আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ বলেন, ক্লাস চলাকালীন বার বার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। পরে কয়েকবার ডেকেছি। পরে ক্লাসে ঢুকতে গিয়ে একটা চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বেরিয়েছে। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া নেবো।