বাংলারজমিন
ভ্যানচালকের লালসার শিকার প্রতিবন্ধী নারী
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভ্যানচালক পলাশ সরদারের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। ঘটনাটি উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের মধ্য চাত্রিশিরা গ্রামের। সরজমিন ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারী ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির দুই সন্তানের জনক পলাশ। এ সময় ওই নারীকে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। ধর্ষকের দেখানো ভয়ে কাউকে কিছুই জানায়নি ভুক্তভোগী। এভাবে প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও বিষয়টি থাকে সবার অজানা। হঠাৎ প্রতিবন্ধী ওই নারীর গর্ভধারণের লক্ষণসমূহ দেখা দিলে করানো হয় পরীক্ষা। তাতেই জানা যায় তিনি গর্ভবতী। গর্ভধারণের বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় ছালাম মোল্লাসহ কতিপয় লোকজন। তাদের কথামতই এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করতে পারেননি ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজন। ভুক্তভোগী নারী জানান, গত রমজানের আগে একদিন নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে পলাশ। এ সময় ঘটনাটি কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। ভুক্তভোগীর মা জানান, ধর্ষণের আগে ও পরে ভয় দেখানো হয় তার মেয়েকে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন কিছু প্রভাবশালী। তবে ধামাচাপা নয় ন্যায্য বিচার দাবি করেন তিনি। ধামাচাপা নয়, বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসার কথা বলা হয়েছে বলে জানান ওই প্রভাবশালী ছালাম মোল্লা। ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ওই যুবক জানান, সে ওই নারীকে ঠিকমতো চিনেনই না। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর অর্থের বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এলাকাবাসী জানান, শারীরিকভাবে অক্ষম ওই নারীর সঙ্গে অমানবিক কাজ করা হয়েছে। তারা আরও জানান, প্রভাবশালীরা যদি ধর্ষককে বাঁচাতে প্রতিবন্ধী ওই নারীর গর্ভের পাঁচ মাসের ভ্রূণকে হত্যা করে সেটিও হবে অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয়। তাই ধর্ষক ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।