প্রথম পাতা
‘অনুকূল পরিবেশে’ সব বিষয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী ভারত
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘অনুকূল পরিবেশে’ বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত ভারত। তিনি বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কূটনৈতিক পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক মোকাবিলা করা যায়। এই মন্তব্যটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ভারতের পার্লামেন্টে পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনার জন্য চারজন বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু। সূত্র দ্য হিন্দুকে জানিয়েছে যে, এই বিশেষজ্ঞরা হলেন- সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম হাসনাইন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত, যদি তা পারস্পরিক উপকারে উপযোগী পরিবেশে হয়।
তিনি এই মন্তব্য করেন ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে। আরও একটি প্রশ্নের জবাবে- যেখানে বাংলাদেশ ১৯শে জুন পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভায় অংশ নেয়- সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, আমরা আমাদের আশপাশের অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সেগুলো ভারতের স্বার্থ ও নিরাপত্তার ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি করি। আমাদের প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বতন্ত্র হলেও, সেই সম্পর্কগুলো পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আলোকে বিবেচিত হয়। এই মন্তব্যটি এসেছে সংসদীয় কমিটির বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষ আলোচনার ঠিক একদিন আগে। প্রাথমিক প্রস্তুতিপত্র অনুযায়ী, আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যে বিষয়গুলোতে মতামত চাওয়া হবে তা হলো- ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থান, বাংলাদেশের অস্থিরতা থেকে ভারতের নিরাপত্তা হুমকি এবং ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-চীনের ‘কৌশলগত সখ্যতা’ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ।
পাঠকের মতামত
ভারত সত্যিকারার্থেই শত্রু দেশ। ওরা আলোচনার নামে অযৌক্তিক সুবিধা আদায় করতে চায়।
ভারত কেন এত আগ্রহী ? ভারত এদেশকে যেভাবে শোষণ করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ৭১ সাল থেকে ভারত এদেশকে শোষণ করছে।
ড,মুহাম্মদ ইউনুস সরকার ক্ষমতায় বসার শুরু থেকেই শেখ হাসিনার ক্ষমতা হারানোর সুখ সইতে না পেরে ভারত একে একে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেই চলেছে শুধু তাই নয় তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের খেয়ালখুশি মতো একে একে বিভিন্ন ভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছেন কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের সাহসী অকুতোভয় বিপ্লবী জনগণ ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার বা নরেন্দ্র মোদি গংদের কাছে নতিস্বীকার করে নাই তাই এখন তাদের জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হচ্ছে।
ট্রানজিব টানছিপমেন্ট ইত্যাদি রেস্ট্রিকশন তুলে দিয়ে বন্ধুসুলভ হন বাংলাদেশের মানুষের সাথে। অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত আপনাদের বেশি হচ্ছে। তবুও দুই দেশের জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়ে যায় সেভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করলে ভারতের ভাবমূর্তি এদেশে অনেক ভালোভাবে ফিরে আসবে আবার। বিশেষ ফ্যাসিবাদী একজন নারীর জন্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অস্থির করা ঠিক হবে না। দিন শেষে বাংলাদেশের সামরিক অসুবিধা হলেও বিকল্প সব তৈরি হয়ে যাবে।
শত্রু দেশের সাথে কোন আপোষ নয় । শক্তি বাড়াতে হবে । জাতীর স্থায়ীত্ব বাড়বে ।
পারস্পারিক উপকার সংজ্ঞা শিখা উচিত ।
পারস্পারিক উপকার সংজ্ঞা শিখা উচিত ।