ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

প্রথম পাতা

মৎস্যের এক প্রকল্পের ২৫৮ কোটি টাকা গায়েব

শরিফ রুবেল
২২ জুন ২০২৫, রবিবার
mzamin

মৎস্য অধিদপ্তরের একটি আলোচিত প্রকল্প ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট। গত সাত বছরেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এরমধ্যেই নানা অনিয়মে ডুবতে বসেছে প্রকল্পটি। ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা উত্তোলন, গাড়ি জালিয়াতি, ভুয়া পরামর্শ দেখিয়ে টাকা বেহাত, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে শতকোটি টাকা প্রণোদনা, ঘুষ বাণিজ্য, টেন্ডারে অনিয়ম, নিয়োগ জালিয়াতি, কেনাকাটায় অনিয়ম, ভুয়া কর্মচারী দেখিয়ে বেতন উত্তোলন, বিদেশ সফরের নামে টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশ থেকে চিংড়ি পোনা কেনার নামে কক্সবাজারের হ্যাচারি থেকে পোনা সংগ্রহ করার মতো নানা ঘটনা ঘটেছে এই প্রকল্প ঘিরে। প্রকল্পটির শুরু থেকেই এমন কোনো অনিয়ম নেই, যা করা হয়নি। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ একটি অডিট রিপোর্টে প্রকল্পের সীমাহীন লুটপাটের তথ্য উঠে এসেছে। আর এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দুদকের একটি অনুসন্ধানেও প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিয়া হায়দার চৌধুরী পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করতেন। পরে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শীর্ষ বিডারকে কাগজপত্র সঠিক নাই দেখিয়ে টেন্ডারে সবচেয়ে নিচে থাকা বিডারকে প্রকল্পের কাজ দিতেন। প্রতিটি টেন্ডারের আড়ালে তিনি দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা কমিশন নিতেন। এ ছাড়া, নতুন টেন্ডার এলেই তা পাস করতে তিনি সময়ক্ষেপণ করতেন। যা প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তোলে। 

কক্সবাজারের এমকেএ হ্যাচারির সঙ্গে ভুয়া চুক্তি করে তিনি এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান মিলে সরকারি কোষাগার থেকে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক ছাড় করেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাত কোটি টাকার প্রকল্প মাত্র পাঁচ কোটি টাকায় অনুমোদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও কক্সবাজারে একটি হ্যাচারির কাজ বিপুল ঘুষের বিনিময়ে জেলার সাবেক একজন এমপিকে পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই জিয়ার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে প্রকল্পটিতে ভয়াবহ জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। এতে মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালককে সরিয়ে দেয় সরকার। পরে তিনি চাকরি হারিয়ে দেশ ছাড়েন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য শহীদ ঠিকাদার ও হাওলাদার ঠিকাদার নামের দুই ব্যক্তি। এই দুই ব্যক্তি চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে একচেটিয়া কাজ করছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই দু’টি কোম্পানি নিয়মিত জিয়া হায়দারকে ঘুষ প্রদান করে টেন্ডার পেতে সফল হয়। ইলিশ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজই শহীদ ঠিকাদার পান বলে জানা গেছে। 

নোয়াখালীর কোস্টগার্ড সিভিল কনস্ট্রাকশন, কক্সবাজারের কলাতলী ঘাটসহ আরও অনেক কাজ পেয়েছেন শহীদ ঠিকাদার। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার সোনাপাড়া, হ্যাচারি জোন, জালিয়াপালং, ইনানী ও উখিয়া এলাকায় অবস্থিত নামসর্বস্ব হ্যাচারি এমকেএ কোনো ধরনের নীতিমালা ছাড়া ৫ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকার ৫০ হাজার পিস পিপিএল আমদানির জন্য এক ভুয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর। এই চুক্তিটি প্রকল্প পরিচালক ও মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্পন্ন করেন। প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড থেকে সামুদ্রিক চিংড়ি রেণু পোনা (পিপিএল) কেনার কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে চিংড়ি রেণু আমদানি না করেই এমকেএ হ্যাচারি কক্সবাজার জেলার সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা নিষিদ্ধ চিংড়ি রেণু পোনা সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে মজুত করেন। এতে বিদেশ থেকে আমদানি দেখিয়ে জালিয়াতি করে সরকারের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়। আর এই জালিয়াতির সঙ্গে প্রকল্প পরিচালক জিয়া চৌধুরী মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন ডিজিকে যুক্ত করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রকল্প পরিচালক দাবি করেন- বিদেশ থেকেই রেণু পোনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড থেকে সামুদ্রিক চিংড়ি রেণু পোনা পিপিএল কেনার সামুদ্রিক পোর্টের ডকুমেন্টস, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র এবং এই চিংড়ি রেণুু পোনা (পিপিএল) কেনার ব্যাংক পেমেন্ট স্ট্যাটাস কিছুই দেখাতে পারেননি। অন্তত ৫০ হাজার পিস পিপিএল চিংড়ি রেণু পোনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোনা মেরিন বায়োটেক থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু মেইলের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তারা বাংলাদেশে পিপিএল সরবরাহের কোনো তথ্য দিতে পারেনি। 

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মোনা মেরিন বায়োটেকের নামে তৈরি করা পাঁচটি ভাউচার তাদের নয়। পরে তাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানায় যাচাই করলে ক্রয়পত্রের  ভাউচারগুলো নকল তার সত্যতা ধরা পড়ে। অনুসন্ধান বলছে, আসলে দুই ব্যক্তির যোগসাজশে ভুয়া ডকুমেন্টস তৈরি করেন এমকেএ হ্যাচারি। পরে কৌশলে সরকারি অনুদানের পুরো ২.৫৬ কোটি টাকা সরিয়ে ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেন তৎকালীন মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক ও এমকেএ হ্যাচারির সিন্ডিকেট। তথ্য পাওয়া গেছে বিশাল অংকের ঘুষের বিনিময়ে মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক ও এমকেএ হ্যাচারি এই ৫ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার সরকারি টাকা সরিয়ে নেন। সম্প্রতি মানবজমিনকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ডিপিডি জানিয়েছেন, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রামের হ্যাচারি, মাছের খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিদের সঙ্গে আঁতাত করে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা কমিশন নেয়া হয়। এই অর্থ আত্মসাৎ করে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, কোনো ধরনের কাজ না করে এই সরকারি অর্থ তুলে নেয়া হয়। এমনকি আরও অর্থ ছাড় করার চেষ্টা করছে ওই সিন্ডিকেট মানবজমিনের হাতে আসা একটি নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

পদে পদে জালিয়াতি: গত ২০২০ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের জন্য ২৬ জন আউটসোর্সিং স্পিডবোট ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু ওই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য স্পিডবোট কেনা হয় ২০২৪ সালের এপ্রিলে। এতে প্রায় আড়াই বছর এই ২৬ জন ড্রাইভারের নামে প্রতি মাসে বেতন ভাতাও তোলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় নামসর্বস্ব ২৩টি সাব মৎস্য প্রজেক্টে ২৩ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রণোদনাস্বরূপ বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এই নামে কোনো প্রজেক্টেরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এসব মৎস্য প্রজেক্টের নাম ব্যবহার করে সরকারের কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রণোদনা নেয়া হয়। মূলত প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় মৎস্য সিন্ডিকেট এই জালিয়াতিতে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, ২০২০ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অন্তত ৬৫ জন পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ পাওয়া কাউকে কাউকে কোটি টাকার বেশি দেয়া হয়। কাগজে-কলমে সেই হিসাবও দেখানো হয়। এতে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অনেক ব্যক্তিও টাকা নিয়েছেন। অনেকের ভুয়া নাম দিয়ে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এই কাজে প্রকল্প পরিচালক জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের পরামর্শক খাতে ২৮ কোটি ৯১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়।

এদিকে, প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১৬টি চেরি গাড়ি ভাড়া নেয়া হয়। প্রতি মাসে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়া হয়। অথচ সরকারি অন্যান্য প্রকল্পে একই গাড়ি ভাড়া নেয়া হয় ১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকল্পের ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, বাড়তি টাকায় গাড়ি ভাড়া নেয়ার পেছনে পিডি ও ডিপিডি (উপ-প্রকল্প পরিচালক) মনীষ কুমার মণ্ডলের কমিশন বাণিজ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো ঠিকমতো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয় না।

অডিটে ধরা পড়লো ২৫৮ কোটির অনিয়ম: মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে। অডিটের তথ্যমতে, প্রকল্পের বড় আর্থিক অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে ডিফার্ড বার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ঠিকাদারকে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেয়া, খালের মাটি খননের অতিরিক্ত উচ্চতা দেখিয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারের ১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্ষতি করা, অনুমোদন ছাড়া মূল বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করে আরডিপিপি বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা, কাজ সম্পাদনের ভুয়া তথ্য দিয়ে ঠিকাদারকে তিন কোটি টাকা আর্থিক সুবিধা দেয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া, অপ্রয়োজনীয় পরামর্শককে বিল পরিশোধ, একই কাজের জন্য দু’বার বিল পরিশোধ, আর্থিক বিবরণীতে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অতিরিক্তভাবে দেখানোর মতো নানা অনিয়ম করা হয়েছে। সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে ৪৮ কোটি ৫০ হাজার টাকার ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য জরিপের মাধ্যমে চিংড়ি এবং তলদেশীয় ও ভাসমান প্রজাতির মৎস্যের মজুত নিরূপণ কর্মসূচি জোরদারকরণ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থার সামর্থ্য বৃদ্ধিপূর্বক বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই মৎস্য মজুত সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও ক্ষুদ্রায়তন মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন অধিকতর কার্যকর পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি (এমসিএস) পদ্ধতির বাস্তবায়ন, উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য আহরণ ও উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট অবকাঠমো উন্নয়ন এবং উৎপাদিত মৎস্যের ভ্যালু চেইন উৎকর্ষ সাধন ও অপচয় হ্রাস করা, উপকূলীয় জেলাগুলোয় ক্লাস্টার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা, মৎস্য মজুত পুনরুদ্ধার এবং উপকূলীয় মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসকরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

যা বলছেন প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী: অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওমরাহ করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে জানান। পরে উপ-প্রকল্প পরিচালক মনীষ কুমার মণ্ডলের মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালকের কাছে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠান। এতে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি, সিন্ডিকেট ও ঘুষের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমকেএ মৎস্য অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রারকৃত বাগদা চিংড়ির এসপিএফ পিএল উৎপাদনকারী হ্যাচারি। কিন্তু হ্যাচারিটি অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করলেও পিপিএল আমদানি করতে ব্যর্থ হয়, ফলে উক্ত হ্যাচারিকে অবশিষ্ট তিনটি কিস্তি প্রদান করা হয়নি। চুক্তির শর্তমতে, আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনুদানের প্রথম কিস্তি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট হ্যাচারির ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এখানে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই এবং প্রকল্প পরিচালক ও মহাপরিচালকের জালিয়াতির বিষয়টি ভিত্তিহীন। আর পিএল আমদানি সংক্রান্ত ডকুমেন্ট প্রকল্প দপ্তরে নেই। ২৬ জন আউটসোর্সিং স্পিডবোট ড্রাইভার নিয়োগের তথ্যও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

পাঠকের মতামত

জালিয়াতির সাথে জড়িত সব গুলোকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে হবে।

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.crickexgaming.com
DMCA.com Protection Status