যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের পরিসর ও ব্যাপ্তি বড় হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর সাহাব এনাম খান। বলেন, সংঘাত যদি নিয়মিত হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই তেলের বাজার, শেয়ার বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হবে। এর প্রভাব গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পড়বে। যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে সোমবার মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে এ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এই যুদ্ধটি আগে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ছিল, এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও পৌঁছে গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও বিক্ষোভ হচ্ছে। যে কারণে এই সরকারের ওপর, মেজর পাওয়ারগুলোর ওপর একটা বড় ধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে। সুতরাং সেই জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে চাপ আছে সেটাতে কৌশলগত এবং ভূ-রাজনৈতিক পোলারাইজেশন আরও বেশি শক্তিশালী হবে। সেটা থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। তবে, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় আসাটা অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশের উদ্বেগ অত্যন্ত বেশি। কারণ এখানে একটা ধর্মীয় মনোভাবের বিষয় আছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টা আছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। সেই জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের এই উৎকণ্ঠা সরকারের জন্যও একটা চিন্তার বিষয়।